বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার, এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অনেকেই।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যখন বঙ্গবন্ধুর জন্য পাকিস্তান জেলে কবর খোঁড়া হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসি দাও কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দিও।’ এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম। ডেভিড ফ্রস্ট উনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার দুর্বলতা কী? বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালিকে অনেক ভালোবাসি’। এই অতিরিক্ত ভালোবাসা বিশ্বাসই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সংসদ উপনেতা আরও বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলার সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আজ পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায়। তারা বলে, সুইজারল্যান্ড নয় পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনীতিতে কিছু অঘোর কবিরাজ আছে। তাদের কিছু বিদেশী ডিগ্রি আছে, যার জোরে তারা নিদান হাঁকেন। কিন্তু তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি। জাতির পিতাকে হত্যা করা না হলে সব মিথ্যাচারকে ভুল প্রমাণিত করে দেশকে অনেক আগেই উন্নত করে ফেলতেন।
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের ভয় দেখায়। আমরা গণঅভ্যুত্থান করে আইয়ুব খানকে বিতাড়িত করেছি। আমরা গণঅভ্যুত্থানকে ভয় পাই না। আগামীতে কোনো গণঅভ্যুত্থান হলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত