বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয়তাবাদের চেতনায় সমগ্র বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেন। আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বরগুনার পাথরঘাটা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারজানা সবুর রুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল জীবনের ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, একটি ভালো কথা এবং ভালো ব্যবহার টনিকের মতো কাজ করে। আমরা শিক্ষকদের দেখে মাথানত করে ছালাম-আদাব দিয়েছি। আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এই বিদ্যাপীঠ থেকে আমিই শুধু নয়, অসংখ্য শিক্ষার্থী মন্ত্রনালয়ের সচিব, উপসচিবসহ দেশের গুরত্বপূর্ণ নানা পদে কর্মরত রয়েছেন।
বরগুনার পাথরঘাটা কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর মেয়ে ফারজানা সবুরের উদ্যোগে প্রথমবারের মত জমকালো এই আয়োজন সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে সন্ধ্যায় কনসার্টে বাংলাদেশের ফোকগানের সম্রাজ্ঞী মমতাজ সংঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা (সংরক্ষিত আসন, বরগুনা-ঝালকাঠি)। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নজরুল ইসলাম মিঠু, চ্যানেল আইয়ের এসেইন্টম্যান এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম, এই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রবীন শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও এই বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষার্থী মো. এমদাদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু জাফর ছালেহ্, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদারসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন রাজনীতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান মঞ্চে স্বস্ত্রীক উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান তার শিক্ষা ও পারিবারিক জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক একটি তহবিল তৈরি করে দেয়ার কথাও ঘোষনা দেন। যেখানে প্রতিবছর মেধাবী ও দরিদ্রদের জন্য বৃত্তি দেয়া হবে এবং বাধ্যতামুলক প্রতিবছর একজন মেয়েকে বৃত্তির আওতায় আনা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ