চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে এগ্রোনমী অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের আয়োজনে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, নবান্ন বাঙালি চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। যান্ত্রিকতার এ যুগে এসে এই সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ার পথে। কিন্তু সেই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, কৃষি অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক আব্দুল আলিম ও এগ্রোনোমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনুষদের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবের উদ্বোধন শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। আনন্দ ও উদ্দীপনায় শোভাযাত্রা নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, নবান্ন উৎসব-২৩ উপলক্ষে পিঠা উৎসব, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কৃষি অনুষদের সামনে ১২টি স্টল নিজেদের হাতে তৈরি দুধপুলি, চন্দ্র পুলি, নকশী পিঠা, মালাই বিহার ও সূর্যমুখীসহ রকমারি পিঠা রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
উৎসব কমিটির আহ্বায়ক কৃষি অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, মূলত গ্রামবাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি লালন এবং তা ধরে রাখতেই এই উৎসব। যেটা প্রতিবছর এই দিনে আমরা আয়োজন করে থাকি। নবান্ন বাঙালি ঐতিহ্য। নবান্নের সঙ্গের কৃষির একটি সম্পর্ক রয়েছে। কৃষি প্রধান এ দেশের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে জানবে এবং কৃষির আধুনিকায়নে উৎসাহী হবে সেটাই প্রত্যাশা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই