চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না উপাচার্য এবং তার প্রশাসন। বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে বিতর্কিত এ প্রশাসন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) শিক্ষক সমিতি দুটি কর্মসূচি পালন করে। বেলা ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট ২৬টি দাবি তুলে ধরেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের দাবি বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য কৌশলে উপেক্ষা করে এসেছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা বাধ্য হয়েছি দেশের এই নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেই কর্মসূচি দিতে। প্রশাসন বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছে। তিনি সিন্ডিকেটকে একটি পর্ষদে পরিণত করেছে ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারসাম্যহীন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৭৩' এর আইনকে অমান্য করেছেন।
বেলা সাড়ে বারোটায় উপাচার্য দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুস্তাফিজুর রহমান ২৬ দাবি তুলে ধরে কর্মসূচি থেকে উপাচার্য ও তার প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এবং চবি শিক্ষকদের হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরী'সহ অন্যান্যা শিক্ষকবৃন্দ।
তবে শিক্ষক সমিতির এমন অবস্থানের বিরোধিতা করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন উপাচার্যপন্থী এবং শিক্ষক সমিতির কার্যিনর্বাহী পর্যেদর চার সদস্য। তারা হলেন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, সদস্য অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক ড. রকিবা নবী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল