পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নগরীর সড়কগুলোতে রিকশা-অটোরিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন তেমন নেই। দূরপাল্লার যানবাহন ও পণ্যবাহী কোনো পরিবহন চলাচল করেনি। ফলে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম। শুধুমাত্র নগরীর নিউমার্কেট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তিন নম্বর রুটের বাস চলাচল করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই রুটে বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ রবিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা হিউম্যান হলার, টেম্পু চোখে পড়লেও বাস কিংবা পণ্যবাহী কোন গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা, শাহ আমনত সেতু সংযোগ এলাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, ইস্পাহানি, অলংকার মোড়, টাইগারপাস, দেওয়ান হাট ও বাদামতলী এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় থাকা মানুষের দুর্ভোগ ছিল সিমাহীন। নিজেদের গন্তব্যে যেতে না পেরে অনেকেই ফিরে গেছেন। ধর্মঘটে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে অফিস, স্কুল-কলেজগামী হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে গণপরিবহন চলাচল না করায় রিক্সা ও অটোরিকশা চালকরা ৫০/৬০ টাকার ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নগরীর আশকারদিঘীর পাড় থেকে রিকসাযোগে ৩০ টাকায় নিয়মিতই মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন গৃহিণী স্কুল সুলতানা খানম। কিন্তু সেই একই দূরত্বে ভাড়া দিতে হয়েছে ৫০ টাকা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালকদের বিরুদ্ধেও।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, বন্দর এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা ছোট যানবাহন চলাচলেও বাধা দিচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি পিকেটিং নিয়ন্ত্রণ করতে। কারণ যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গাড়ি চালাবে তাদের বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার