চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর ছোটপুল এলাকায় ২৫ বছর বয়সী সুমী ইসলাম নামের নারীর বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ড্রেনের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধারের পর আজ সোমবার ভোরে বেপারীপাড়ার পাশে কবরস্থানের ঝোপের ভেতর থেকেও ওই নারীর মাথা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীর স্বামী জাহিদ হোসেন রাজু (২৮), আবদুল জলিল (২৯) ও জলিলের স্ত্রী ফেরদৌসকে গ্রেপতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে নারীর পৃথক মাথা উদ্ধার করে বলে জানান হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক।
তিনি বলেন, সুমি ইসলাম খুলনার পোটপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী জাহিদ হোসেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। গত দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সুমি সিডিএ আবাসিক এলাকায় একটি বুটিক হাউজে চাকরি করতেন। তারা ছোটপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
গ্রেফতারকৃত জাহিদ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, দাম্পত্য কলহ থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিয়ের পর থেকে সুমির সঙ্গে জাহিদের বনিবনা হচ্ছিল না। বিভিন্ন জনের সঙ্গে সুমির মেলামেশা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরে ছোটপুল এলাকায় সড়কের নিচে ড্রেনের ভেতর থেকে সুমি ইসলামের বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে হালিশহর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার