চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেড় হাজার বর্গফুট আয়তন, ২৫ ফুট প্রস্থ ও ৩০ ফুট উচ্চতার স্থানে ৬ প্রজাতির ৩৪২টি পাখি নিয়ে যাত্রা করল ছোট্ট একটি পক্ষীশালা। গত বুুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন নবনির্মিত এ পক্ষীশালার উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ, চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমীন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাঘ, জেব্রাসহ নতুন নতুন পশু-পাখি আনা হয়। যার সর্বশেষ সংযোজন পক্ষীশালা নির্মাণ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকে পাখি সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। ফলে বাচ্চাদেরও এ বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে পারেন না। পক্ষীশালা পাখি সম্পর্কে জানতে সবাইকে সহায়তা করবে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, একসময় এ চিড়িয়াখানা লস প্রজেক্ট ছিল। স্ষ্ঠুু তদারকির কারণে এখন আমরা লাভবান হচ্ছি। দর্শানার্থীদের আরও আকর্ষণ করতে এখানে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি নিয়ে আসা হবে। চিড়িয়াখানার জায়গা স্বল্পতা দূর করতে পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকেও কিছু জায়গা নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।’
সদস্য সচিব রুহুল আমীন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পক্ষীশালাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয় করতে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।’ তিনি বলেন, ৩৪২টি পাখির মধ্যে ২০ জোড়া লাভ বার্ড, ৫০ জোড়া লাফিং ডোব, ১০ জোড়া ফিজন্ট, ১০ জোড়া রিংনেক প্যারট, ৫০ জোড়া ককটিয়েল, ১ জোড়া ম্যাকাও রয়েছে। বাকীগুলো বিভিন্ন প্রজাতির।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন