নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা বলেছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোভিড মহামারির আগে বাংলাদেশের কাছাকাছি ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্জন করেছে নেপাল। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও তার সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল সোমবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা। এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম, রাষ্ট্রদূতের সেক্রেটারি রিয়া সেট্রি, চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৫০ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার সরবরাহ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের জন্য নেপালকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ এবং আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা।
রাষ্ট্রদূত এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি রোড ম্যাপ প্রণয়ন, আকাশপথে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি, সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন, চিলমারীর মাধ্যমে রেল সংযোগ স্থাপন, নদীপথে ভারতের গঙ্গা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদী দিয়ে পণ্য পরিবহন, বর্ষা মৌসুমে পানি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানি করা এবং শীত মৌসুমে একইভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা, গ্রীষ্মের সময় নেপালে উৎপাদিত সবজি, ফলমূল ইত্যাদি বাংলাদেশ কর্তৃক আমদানি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে।
এছাড়া পিপল টু পিপল যোগাযোগ বৃদ্ধি, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে উভয় সরকার প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতে পারে। মতবিনিময় শেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পার্মানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর