চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) উদ্যোগে ‘শেয়ারিং নলেজ, কেয়ারিং লাইফ’ শ্লোগানে দ্বিতীয়বারের মতো ১ হাজার ২০০ চিকিতৎসক নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। চমেক হাসপাতালের শাহ্ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে সম্মেলন শেষ হবে শুক্রবার।
বুধবার দুপুরে চমেক শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়। বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চমেক শিক্ষক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১ হাজার ২৫০ জন চিকিৎসক নিয়ে চমেক ক্যাম্পাসে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি স্টেট অব আর্ট লেকচার, প্রয়াত তিনজন বরেণ্য শিক্ষক প্রফেসর এল এ কাদেরী, প্রফেসর সৈয়দা নূরজাহান ভূঁইয়া, প্রফেসর মাহতাব উদ্দিন হাসান স্মরণে তিনটি মেমোরিয়াল লেকচার, ৬টি প্লেনারি সেশন, ২টি অন্তর্জাতিক হাইব্রিড সেশন, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের ১৫টি উপস্থাপনা, দেশের বরেণ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ৪৪টি নিবন্ধ এবং বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণালব্ধ ১০০টি ফ্রি পেপার ও ৪৪টি পোস্টার উপস্থাপিত হবে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বশেষ গবেষণালব্ধ জ্ঞান সম্পর্কে চিকিৎসকদের ধারণা দেওয়া হবে, যা রোগীদের সেবায় সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মনোয়ার-উল হক শামীম, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন কমিটির সভাপতি ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ, নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী, বৈজ্ঞানিক সম্মেলন কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এরশাদ উদ্দিন আহমেদ, এনেসথেসিওলজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রণয় দত্ত, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৌমেন সরকার, প্রোগ্রাম ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. জিএম তৈয়ব আলী, ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদ রানা, মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আবুল ফয়সাল চৌধুরী।
উপস্থিত চিকিৎসকরা বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান এক সতত পরিবর্তনশীল জ্ঞান। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্যজ্ঞান সংযুক্ত হচ্ছে। চিকিৎসা শাস্ত্র শুধুমাত্র উপসর্গভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় সীমাবদ্ধ নেই। মলিকুলার পর্যায়ে আজ নেনো টেকনোলজির প্রয়োগ চিকিৎসা শাস্ত্রকে অনেক বেশি কার্যকর করে তুলেছে। এখন রোগ হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন জিনগত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য রোগ সম্বন্ধে আগাম ধারণা পাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বে এই ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান। এমনকি চমেকের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ফ্যাকাল্টিরা এই ধরনের নানা গবেষণা কর্মে চমকপ্রদ সাফল্য লাভ করেছেন। করোনা মহামারিতেও চমেক শিক্ষকদের অনেক আন্তর্জাতিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম