চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখন দরকার গুণগত মান বাড়ানো, যা পুষ্টি নিশ্চিত করবে। পুষ্টি খাতে বাংলাদেশের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় বহুখাত ভিত্তিক রিসোর্স টিমের (ডিএমআরটি) প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সনদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
তিনি বলেন, অপুষ্টি নিরাময়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সহজতর হয়। এর ফলে ক্ষুধা নিবারণ ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। পুষ্টিমান বাড়াতে অনেক এলাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন দেওয়ার মতো চমৎকার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পুষ্টিবান জাতি গঠনে আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে ভোক্তাদের এমনভাবে সমন্বয় ঘটাতে হবে যেন নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য সবার জন্য সুলভ করা যায়। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ আমরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও কাজ করছি। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা গেলে পুষ্টিবান জাতি গঠন সম্ভব।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও চমেক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দৃষ্টি শর্মার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, ইউনিসেফ এর চীফ অব ফিল্ড অফিস মাধুরী ব্যানার্জী, বিএনএনসি’র পরিচালক ডা. তাহেরুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব, নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) সালমা ফেরদৌস প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম