চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসের কাঁচামাল স্বল্পতায় সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে ডায়ালাইসিস সেবা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে এ সেবা বন্ধ রেখেছে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর। কর্তৃপক্ষ বলছেন, নগদ মালামাল ক্রয় করে ডায়ালাইসিস সেবা চালু রাখলেও বর্তমানে নগদ অর্থ না থাকার কারণে মালামাল ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে কাঁচামাল স্বল্পতায় আগামি দু-একদিনের মধ্যে সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কিডনি রোগীদের সেবা দিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে আগের নিয়মে রোগীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে। টেকনিক্যাল কারণে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ থাকলেও শীঘ্রই সেবা চালু করা হবে।
স্যান্ডরের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, কিছু কাঁচামাল সংকটে সাময়িকভাবে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সকালের সেশনেও আমাদের সেবা চলছিল। সকালের সেশনে রোগীদের কাছ থেকে যে ফি নেওয়া হয়েছে সে টাকা দিয়ে সংকট থাকা মেডিসিনগুলো কিনতে পাঠিয়েছি। আমরা সাধারণ ভেন্ডর নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডায়ালাইসিসের কাঁচামালগুলো কিনে থাকি। কিন্তু প্রচুর অর্থ বকেয়া থাকায় তারা মেডিসিন দিচ্ছে না। তাই সেবা দিতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের ফটকে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত নভেম্বর ২০২২ থেকে অনেক কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং কেউ কেউ পূর্ণাঙ্গ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে যেহেতু ডায়ালাইসিস সেবা অত্যন্ত স্পর্শকাতর জরুরি সেবা, সেহেতু সংশ্লিষ্ট সকল রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অগ্রিম অনুরোধ করা হলো। বিগত বছরগুলোতে স্যান্ডরের সেবার বিপরীতে ৩১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরু থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবার ফি বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল রোগী ও তাদের স্বজনরা। এর আগে গত বছরের ৪ জানুয়ারি এভাবে নোটিশ টাঙিয়ে সেবা বন্ধ করে দেয় স্যান্ডর। এক বছর পর আবারও একই পদ্ধতিতে নোটিশ ঝুলিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ থাকায় রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের দাবি, গত বছরের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম