শিরোনাম
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
- গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
- গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
- এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
আওয়ামী লীগ
দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি বি এম মোজাম্মেল হক ও জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি আবু সাঈদ আল স্বপনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গতকাল দুদকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ও বিভিন্ন মাধ্যমে আসা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় দুদক। ইতোমধ্যেই কমিশন থেকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হকসহ স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সরকারি অর্থ দিয়ে নিজস্ব পুকুর খনন করেছেন। মৎস্য উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় জাজিরা, গোসাইরহাট ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১১টি পুকুর ও খাল খনন করা হয়। সংসদ সদস্যের ডিও পত্রের মাধ্যমে তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ টাকায় শরীয়তপুর জেলা মৎস্য বিভাগ এ জলাশয় তিনটি বিশেষ প্রকল্পের নামে বাস্তবায়ন করেছে। অভিযোগ রয়েছে, জলাশয়গুলোর সবই সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ির পুকুর। অন্যদিকে, সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সম্পর্কে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসা থেকে তার আয় পাঁচ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বেড়ে ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০ টাকা হয়েছে। ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামায় তার স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। এবার ব্যবসা থেকে তার স্ত্রীর আয় বার্ষিক ১১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তাদের আয় ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০ টাকা। ব্যাংকে তার স্ত্রীর নগদ রয়েছে চার লাখ ১০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে তার বিনিয়োগ পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গতবার তার কোনো স্বর্ণ না থাকলেও এবার ২০ ভরি স্বর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া আড়াই লাখ টাকার টিভি, এসি ইত্যাদি রয়েছে। ২০০৮ সালে কোনো জমি না থাকলেও এবার মেহবুবা আলম আট একরের বেশি অকৃষি জমির মালিক হয়েছেন, যার দাম দেখানো হয়েছে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। জয়পুরহাটের শান্তিনগরে তিনি দুই কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন, যার খরচ দেখানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া জয়পুরহাট, ঢাকার সাভার ও কুয়াকাটায় দুটি জমির জন্য ৫২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। বন্ধু ও সহকর্মীদের থেকে তিনি ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এই বিভাগের আরও খবর