মেয়ে সমকামী। কিন্তু তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না মেয়ের বাবার। তিনি চান অন্য স্বাভাবিক মেয়েদের মতোই তার মেয়েও প্রথাগতভাবেই একটি ছেলেকে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে সংসার করুক। আর সেজন্য ৮১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ দিতেও রাজি তিনি। অবিশ্বাস মনে হলেও এটাই সত্যি। ব্যতিক্রমী মেয়ের জন্য বাবাও বেছে নিলেন এই ব্যতিক্রম পন্থা। খবরটি সম্প্রতি হংকংয়ের এক বিজনেস টাইকুন সেসিল চাও ঘোষণা করেছেন।
সমকামী মেয়ের জন্য জামাই খুঁজতে তিনি ২০১২ সালে ৪০৭.৫ কোটি টাকা পণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় এবছর তিনি দ্বিগুণ পরিমাণ টাকার কথা ঘোষণা করেন।
‘রাজত্ব আর রাজকন্যা’ পাওয়ার লোভে ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ হাজার বিবাহযোগ্য ছেলে সেসিল চাও’র মেয়ে গিগি’র মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কারুরই ঝুলিতেই সাফল্য আসেনি। কেউই পারেননি গিগি’র মন থেকে সিয়ান ইভ’র ৯ বছরের ভালোবাসা মুছে ফেলে নিজের জায়গা করে নিতে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও কেউই গিগি’কে বিয়ে করতে পারেননি। কারণ পণ দিয়ে জামাই কিনতে রাজি হলেও চাও তার মেয়েকে এমন কোনও ছেলের হাতে তুলে দিতে চান না, যাকে সে ভালবাসে না।
গিগি’র প্রেমিকা হলেন সিয়ান ইভ। যার সঙ্গে বিগত ৯ বছর ধরে সম্পর্ক গিগি’র। এমনকি ২০১২ সালে ফ্রান্সে গিয়ে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধও হয়েছিলেন। কিন্তু সমকামীদের মধ্যেকার বিয়ে আইনি স্বীকৃতি পায়নি।
টাইকুন সেসিল চাও জানিয়েছেন, তিনি তার মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে চান না। কিন্তু তিনি শুধু চান তার মেয়ে অন্য স্বাভাবিক মেয়ের মতই একটি ছেলেকে বিয়ে করুক। আর তার বিশাল রাজত্বের দায়িত্ব নিক।
অন্যদিকে গিগি জানিয়েছেন, তিনি একজন ছেলের বন্ধু হতে পারেন। কিন্তু তাকে ভালবাসা সম্ভব নয়। তার বাবা যতই টাকা দিয়ে জামাই কিনতে চান না কেন, তিনি কোনওদিনই ছেলেদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবেন না। টাকার জন্য কোনও ছেলে তাকে বিয়ে করতে রাজি হতেই পারেন। কিন্তু তার পক্ষে তাকে বন্ধু ছাড়া অন্য কিছু হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায়ই প্রমাণ করে যে তার বাবা তাকে কতটা ভালবাসেন৷ তিনিও তার বাবাকে খুব ভালোবাসেন। তাই বলে কোনও ছেলেকে বিয়ে করা সম্ভব নয় গিগির পক্ষে।