ঘরের চারিদিকে ঘোরাফেরা করা সবথেকে ক্ষুদ্র প্রাণীটি হল পিঁপড়া। তবে এদের রয়েছে এমন এক ক্ষমতা যা পৃথিবীতে একমাত্র মানুষের কাছেই আছে।
সায়েন্স জার্নালে সম্প্রতি একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পিঁপড়াদের একটি বিশেষ ক্ষমতার কথা। ঘরের চারিদিকে ঘোরাফেরা করা পিঁপড়ারা যদি হঠাৎ করে চোট পায় তাহলে তারা কী মারা যায়। উত্তর হলো- না।
পিঁপড়ারা বেশিরভাগ পায়ে চোট পায়। কোনও পিঁপড়া চোট পেলে সে খোঁড়াতে থাকে। সেইসময় বাকি পিঁপড়ারা এসে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিঁপড়াদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার পা মেরামতের কাজ করা হয়। কিছুদিন পর সেই পিঁপড়াটি ফের নিজের কাজে নেমে পড়ে।
মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে কোনও প্রাণীর কাছে নিজের হাসপাতাল নেই। তবে এখানে মানুষকে সমানে সমানে টেক্কা দিয়েছে পিঁপড়া। তারা নিজেদের ঘরে তৈরি করেছে সেই হাসপাতাল। এখানে আহত পিঁপড়েদের নিয়ে এসে তাদের সেবা করা হয়। মরে না গেলে তাদেরকে সেবা করে বাঁচিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পিঁপড়াদের এই হাসপাতাল থেকে তারা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আহত পিঁপড়েকে সারিয়ে তোলার কাজটি করে। তাই তাদের চিকিৎসা পরিষেবা বেশ উন্নত। তারা ধীরে ধীরে চিকিৎসা করে নিজেদের সঙ্গীকে সুস্থ করে তোলে।
মানুষের পায়ে কোনও চোট লাগলে যেভাবে তাকে সেবা করে সুস্থ করে তোলা হয় ঠিক তেমনভাবেই পিঁপড়েরা তাদের আহত সঙ্গীর পা ঠিক করে তোলে। পা এমন একটি অঙ্গ যেখানে চোট পেলে সেখান থেকে সহজে পরিত্রাণ মেলে না। তবে এখানে মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে পিঁপড়ারা। তারা নিদের মতো করে চিকিৎসা করে সঙ্গীদের সারিয়ে তোলে।
পিঁপড়ার পায়ের চিকিৎসার এই ক্ষমতা দেখে সকলেই অবাক। গবেষকরা জানিয়েছেন- মানুষকে এমনভাবে নকল করার ক্ষমতা একমাত্র পিঁপড়ার আছে। পিঁপড়ার হাসপাতাল তাই মানুষের হাসপাতাল থেকে কোনও অংশে কম নয়।
তথ্য সূত্র- আর্থডটকম।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ