বলা হয়ে থাকে যে, হাতের লেখায় নাকি ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়। আসলেও তাই। হস্তলিপি বিশারদরা সাধারণত কারো হাতের লেখা দেখেই ওই লোকটির ব্যক্তিত্ব কেমন তা বলে দিতে পারে। কোন ধরনের হাতের লেখার ব্যক্তিত্ব কেমন তা জেনে নেওয়া যাক।
১. যেসব ব্যক্তি অক্ষরগুলো খুব গায়ে গায়ে লাগিয়ে লেখেন তারা অন্যকে কোনো ব্যাপারে খুব জোর করতে পারেন৷ ক্ষেত্রবিশেষে এরা অন্যন্ত বিরক্তিদায়কও হন৷ কারোও স্বাক্ষর যদি খুব জড়ানো হয় বা চট করে পড়তে পারা না যায়, তার মানে বুঝতে হবে তিনি ব্যক্তিগত ব্যাপার ব্যক্তিগত রাখতেই ভালোবাসেন৷ আর কারোও হাতের লেখা যদি প্রতিটা লাইনে সোজা বা বাঁকা হয়ে বদলাতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি প্রায়শই মিথ্যা কথা বলেন৷
২. যাদের হাতের লেখা গোটা গোটা মানে বড় অক্ষর লেখেন তাদের মারাত্মক ইগো থাকে৷ এরা সবসময় ভাবেন দুনিয়ায় সবাই এদের চারপাশে ঘুরঘুর করবে৷ আর উল্টোটা হওয়া মানে কেউ কোনো ব্যাপারে ভীষণ ফোকাসড৷ কার্সিভ রাইটিং যারা করেন তারা অনেকেই স্বভাবগত দিক থেকে আবেগপ্রবণ হন৷ যারা বাঁদিকে কাঁকিয়ে অক্ষর লেখেন তারা চট করে নিজের আবেগটা বাইরে প্রকাশ করতে দিতে চান না৷
৩. যাদের হাতের লেখা সোজা তারা কোনো ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখালেও বাইরের লোক চট করে তা বুঝতে পারে না৷ আর এরা খুব যুক্তিবাদী প্রকৃতির হন৷ যারা লেখার মধ্যে বেশি গ্যাপ দেন তারা সবার থেকে আলাদা থাকতে ভালোবাসেন। কিন্তু উল্টোটা হলে তার অর্থ কেউ সবসময় লোকজনের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসেন৷
৪. যেসব ব্যক্তিদের স্বাক্ষর খুব স্পষ্ট তারা কারো কাছ থেকে চট করে কিছু লুকান না৷ আত্মবিশ্বাসই এদের মূল অস্ত্র৷ অনেকের স্বাক্ষর বড় বড় গোল করে লেখা থাকে৷ হস্তবিশারদদের মতে, এমন ব্যক্তি নিজেকে সবসময় সবকিছু থেকে সুরক্ষিত রাখতে চেষ্টা করেন৷ যারা লেখার মধ্যে মধ্যে বেশি ডট দেন তারা খুব একটা বাস্তববাদী হন না৷ আর যারা লেখার মাঝে মাঝে বেশি ড্যাশ দেন তারা অন্যের সমালোচনাও বেশি করে করেন৷
৫. আর ইংরেজি টি অক্ষরের নীচে যারা গোল করে ক্রস করেন তারা কোনো ব্যাপারে খুব দৃঢ়চেতা হন। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, মনে মনে যা স্থির করেন সেই কাজটা করেই ছাড়েন তারা। আর এর উল্টোটা যারা করেন তারা ভীষণ অলস প্রকৃতির হন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪/শরীফ