কুমির হত্যা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু কুমির মেরেই এক জেলে রীতিমতো ‘হিরো’ বনে গেছেন এক জেলে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার উগাণ্ডায়।
দেশটির কিবুই গ্রামে পরিবার নিয়ে বাস করেন মোবারক বাতামবুজ। ঘটনার দিন তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী দিমিত্রীয় নাবোয়ার জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পার হবার পরও তিনি ঘরে না ফেরায় গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজতে যান। জঙ্গল সংলগ্ন নদীর তীরে তার রক্তাক্ত হাত ও পায়ের আঙ্গুল এবং স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পেলেও দিমিত্রীয়কে খুঁজে পাওয়া গেল না। সবাই ধারণা করণের কুমির তাকে খেয়ে ফেলেছে। কারণ এর আগেও ছয়জন নারী এবং এক শিশুকে খাওয়ার রেকর্ড রয়েছে কুমিরের।
এরপর মোবারক কামারের বাড়িতে যান এবং সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করে একটি ধারালো বল্লম তৈরি করেন। সারাদিন নদীর তীরে কাটান এবং একদিন ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও এক হাজার কেজি ওজনের কুমিরটি হাতের নাগালে পেয়ে যান। আর তারপরই বল্লমের আঘাতে কুমিরটিকে হত্যা করে স্ত্রী হারানোর প্রতিশোধ নেন। এ ঘটনার পরই মোবারক বাতামবুজ হিরো বনে গেলেন। গ্রামবাসী তাকে ‘বীর’ উপাধি দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা