সারা বাড়ি জুড়ে কেবল স্মৃতি আর স্মৃতি। ৮৭ বছর বয়সী মে অ্যাপলেটনের স্মৃতির বাড়ি। নিজের শৈশবের পুতুল-খেলনা-অটোগ্রাফ দিয়ে সাজানো পুরো বাড়ি। ১৯৬০ এবং ৭০'র দশকের বহু খেলোয়াডরসহ বিভিন্ন ফিল্ম ব্যক্তিত্বদের অটোগ্রাফ আছে তার মিউজিয়ামে বা স্মৃতির ভাঁড়ারে। আরও রয়েছে শৈশবের রোবট, ক্যামেরার কালেকশন।
মে অ্যাপলেটন তিন সন্তানের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করেন। সন্তানরা বড় হয়ে গেলে নিজের অবসর কাটানোর একটা পথ খুঁজে বের করেন তিনি। পুতুল থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেদের অটোগ্রাফসহ যত স্মৃতিজড়িত সামগ্রী আছে, সব সাজিয়ে রাখলেন। অবশ্য স্মৃতি আঁকড়ে ধরার জন্য ভোগান্তিও হয়েছে তার। কয়েকবার আদালতে যেতে হয়েছে তাকে। বাড়ির চারদিকে ভর্তি হয়ে রয়েছে তার স্মৃতি দিয়ে। তাই বাড়ি পরিষ্কারের জন্য ৭ বার চিঠিও আসে বাড়িতে। তাতে একটুও দমেননি তিনি। অনেকেই বলেছেন বাড়িতে আগুন ধরে যেতে পারে, তাই বাড়ি পরিষ্কার করুন। তার ছেলেরাও মায়ের স্মৃতির সংসারকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে নারাজ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা