মহাশূন্যে আবর্জনা ফেলার জন্য নেই কোনো ঝুড়ি। নেই ‘ভাঙা কুলো’ও। অথচ ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক উৎক্ষেপণ থেকে আজ পর্যন্ত জমে থাকা এই ‘ডেবরি’ বা জঞ্জালের আকার বাড়তে বাড়তে একটা আস্ত বাসের মতো হয়ে গেছে। ১৯৫৭ সাল থেকে পরবর্তী ৬ দশকে মহাকাশ গবেষণার কাজে পাঠানো হয়েছে স্যাটেলাইট। সেখানে চক্কর মেরেছে স্পেশশিপ। মহাকাশযান তার বর্জ্য ছেড়ে ফিরে এসেছে পৃথিবীতে। ওইসব ‘আবর্জনা’র মীমাংসা শেষমেষ হয়নি। তারা পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে গিয়েছে অনন্তকাল পাক খাওয়ার জন্য।
বিজ্ঞানীদের অভিমত, ৬ দশক লেগেছে এই জঞ্জাল জমতে। আরো ৬ দশকের মতো সময় লাগবে আদের সাফ করতে। নাসা এই মুহূর্তে এই রকম ২০,০০০টি জঞ্জালকে সরাতে সচেষ্ট হয়েছে।
মহাকাশ-জঞ্জাল নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে কল্পনা করার চেষ্টাও করছেন, কী অবস্থায় রয়েছে আবর্জনা-সহ পৃথিবীর কক্ষ-এলাকা। গ্রেট ব্রিটেনের রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট গ্রে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে ধরেছেন এক অসাধারণ গ্রাফিক্সের মাধ্যমে।
জঞ্জাল দেখতে ক্লিক করুন:
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা