একজন ট্র্যাফিক কনস্টেবলের মাসিক আয় সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা। এই রোজগারের টাকায় কি ছয়টি বিলাসবহুল বাড়িসহ চারটি গাড়ির মালিক হওয়া সম্ভব? প্রশ্নটা মোটেও কঠিন নয়। তবে এর উত্তরটা বেশ জটিল! কারণ, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক ট্র্যাফিক কনস্টেবল অরুণ সিংহের মালিকানায় মিলেছে এমন সম্পত্তির খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এখন চোখ কপালে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের।
মাস তিনেক আগে অরুণ সিংহকে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু, কাজে যোগ দেওয়ার তো দূর কথা, এক দিনের জন্যও সেখানে দেখা মেলেনি তাঁর। তাতেই প্রথম সন্দেহ হয় পরিবহন দফতরের কর্মীদের। ভূমি অফিসে অভিযোগও দায়ের করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ।
এরপরই ইন্দোরে অণ্ণপূর্ণা এলাকায় অরুণ সিংহের তিনতলা বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর খোঁজ মিলেছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। কী রকম? পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, অরুণ সিংহের স্ত্রীর নামে দু’টি ছয় হাজার বর্গফুটের জমি রয়েছে। মোহাও রোডে ছেলের নামে রয়েছে একটি ২৫ একরের ফার্মহাউসসহ দু’টি আট হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এছাড়া, ইনদওর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে রেওয়াতে দু’টি বাড়ির সন্ধানও মিলেছে। শুধু তাই নয়, চারটি গাড়িসহ অরুণ সিংহের আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথাও জানতে পেরেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
এর আগেও বহুবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, কখনই পুলিশের ফাঁদে পড়েননি হেড কনস্টেবল অরুণ সিংহ। এবার যেন সব নিয়েই ডুবতে বসেছে তাঁর দুর্নীতির জাহাজ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব