সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। এরপর মন দেওয়া-নেওয়া। অতঃপর দেখা। এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। এজন্য সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ডেনমার্ক থেকে চীনে এসেছিলেন গার্লফ্রেন্ডকে একনজর দেখতে। কিন্তু টানা ১০ দিন বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেও প্রেমিকার সাক্ষাৎ মেলেনি। এতে হতাশ ডেনিস নাগরিক আলেকজান্ডার পিটার কির্ক এখন দেশে ফিরে যাওয়া চিন্তা করছেন।
ফেসবুকে সিসিটিভির এক পোস্টে বলা হয়, ৪১ বয়সী কির্ক দশ দিন ধরে একটানা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তার আশা, তার গার্লফ্রেন্ড তার সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু ঝ্যাং নামের তার গার্লফ্রেন্ড তা করেনি।
এরপর বিমানবন্দরে তার অপেক্ষার ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশের পর ঝ্যাং জানতে পারেন যে, আলেকজান্ডার তার সাথে দেখা করার জন্য চীনে অপেক্ষা করছে।
পরে ঝ্যাং সিসিটিভিকে বলেন, “আমরা রোমান্টিকভাবে আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরবর্তীতে কির্ক আমার প্রতি উদাসীনতা দেখালো। এরপর একদিন হঠাৎ সে আমাকে একটা বিমানের টিকিট দেখালো, কিন্তু আমি চিন্তা করলাম, সে মজা করছে। এরপর কির্ক আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি।”
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে সম্ভবত ঝ্যাং প্লাস্টিক সার্জারির জন্য অন্য একটি শহরে যান, আর সে কারণে কির্কের মেসেজ তিনি দেখতে পাননি।
টানা দশ দিন বিমানবন্দরের সোফায় রাত কাটানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কির্ক। এখন সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান। তবে ঝ্যাং তার সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ঝ্যাং কি দ্রুতই কির্কের সঙ্গে দেখা করে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করবেন, নাকি আলেকজান্ডার দেশে ফিরে যাবেন- প্রেমের এ দ্বিতীয় অংশ জানতে আমাদের আপাতত আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি-প্রতিদিন/০২ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব