যারা সন্তান হারান তাদের যন্ত্রণা যে ঠিক কী তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। শুধু তাই নয়, এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যারা না গিয়েছেন তাদের পক্ষে হয়তো সেই বেদনার কথা বোঝা কঠিন। আর তাই অনেক সময় মৃত সন্তানকে ফিরে পাওয়ার তাগিদে এক প্রকার উন্মাদ হয়ে যান সন্তানের মা-বাবা। আর তাই কোন প্রকারে সন্তানের উপস্থিতি টের পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
ঠিক এমনই হয়েছিল ফ্লোরিডার ক্যাসির সঙ্গে। খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার শিশুটি মাত্র সাড়ে তিন মাস বয়সেই মারা যায়। সময়টা ছিল ২০০৮ সাল। ৯ মার্চ ছোট্ট লুসি মারা যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই খুব ভেঙে পরেছিলেন ক্যাসি। তার পরিবারের বাকি লোকজন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে কিছু করতে পারছিলেন না। ৯ তারিখ রাতে ক্যাসি এবং তার মা এবং তার ছোট বোন যখন ঘরে শুয়ে রয়েছেন, তখন হঠাৎই ক্যাসি অনুভব করেন তার ঠিক পাশেই ছোট্ট এক অবয়ব বসে রয়েছে। ক্যাসি ভেবেছিলেন বোধহয় একমাত্র তিনিই তার সন্তানের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছেন।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ক্যাসির মা এবং তার ছোট বোনও একই ব্যাপার অনুভব করেন এবং ভূতের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ক্যাসি বুঝতে পারছিলেন তার ছোট্ট ছেলেটিই ঘরে রয়েছে। আর তাই লুসির উদ্দেশ্যে ক্যাসি বলতে থাকেন, “দুষ্টুমি কোরো না। সবাই ভয় পাচ্ছেন। এমন করতে নেই।”
ক্যাসির এমন ব্যবহারে যথারীতি প্রত্যেকেই অবাক। কিন্তু খুব অদ্ভুত ভাবেই ঘরের ভৌতিক আবেশ কেটে যায় ক্যাসির হাওয়ায় কথা বলার পর। এই ঘটনার পরেও ক্যাসি মাঝে মধ্যেই নিজের সন্তানের উপস্থিতি নিজের বাড়িতে অনুভব করতেন। ঘরের মধ্যে কেউ মার্বেল দিয়ে খেলত, হঠাৎ জানলা বন্ধ হয়ে যেত সশব্দে। আর বাড়ির বাকি সদস্যরা এই ঘটনায় ভয় পেতেন। তখন ক্যাসি ছেলের উদ্দেশ্যে দুষ্টুমি বন্ধ করতে বলার নির্দেশ দিলেই থেমে যেত ভৌতিক কাণ্ড। এরপর একসময় ক্যাসির পরিবার অন্য বাড়িতে চলে যান। আর ক্যাসিরও চলে আসতে হয় সন্তানকে ছেড়ে। ক্যাসির বিশ্বাস ছোট্ট ক্যাসপারের মতো তাদের পুরনো বাড়িতে এখনও রয়ে গিয়েছে লুসি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/৯ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৩