হংকংয়ে চালু হলো খরগোশ ক্যাফে। খরগোশপ্রেমীদের জন্য এটা সুখবরই বটে! কেউ চাইলেই তাদের পোষা খরগোশ রাখতে পারবেন এ ক্যাফেতে। এমন অনেকেই আছেন যারা খরগোশ পুষতে চান কিন্তু বাড়িতে রাখার মতো জায়গা না থাকায় তা পারেন না। এখন আর তাদের কোনো চিন্তা নেই। ইচ্ছে করলেই তারা ওই ক্যাফেতে খরগোশ পালতে পারবেন।
খরগোস ক্যাফেটি কিছুটা ডে কেয়ারের মতো। পার্থক্য শুধু ডে কেয়ারে অফিসে যাওয়ার আগে বাবা-মা শিশুকে রেখে যান, আর নিয়ে যান বাড়ি ফেরার আগে। কিন্তু র্যাবিটল্যান্ড ক্যাফেতে খরগাশগুলো সারাক্ষণই থাকতে পারে। যখন দেখতে ইচ্ছে করবে, তখন পোষা খরগোশকে দেখতে যাওয়া যাবে। প্রিয় খরগোশকে নিজহাতে খাওয়াতেও পারবেন। একইসঙ্গে তারা করতে পারেন কফি পানও। খরগোশপ্রেমীদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থাটি করেছে হংকংয়ের র্যাবিটল্যান্ড ক্যাফে। সেখানে যারা খেতে আসবেন, তারা চাইলে খরগোশ পুষতে পারবেন। ক্যাফেটির ভেতরে এখন আটটি খরগোশ আছে। সেখানে খেতে আসা ক্রেতা খরগোশগুলোকে খাওয়াতে পারেন।
সম্প্রতি হংকংয়ে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। খরগোস সেখানকার বিলুপ্তপ্রায় তিন নম্বর প্রাণী। ঘরে পোষার জন্য আগে অনেকে খরগোশ কিনেছিলেন। কিন্তু বাড়িতে জায়গা না থাকায়, সেগুলো এখন তারা ফেরত দিচ্ছেন। কারণ হংকং শহর ক্রমেই হয়ে উঠছে ঘনবসতিপূর্ণ। একইসঙ্গে মানুষ দিনদিন খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাই পশুপাখি পোষার মতো তাদের সময় ও জায়গা নেই। তাই মানুষ যেন ক্যাফেতে গিয়ে পশুপাখি পোষার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। সেজন্য অভিনব এ উদ্যোগটি চালু করছে ক্যাফেটি।হংকং শহরে এ রকম অনেক ক্যাফে আছে। কিন্তু খরগোশের ক্যাফে চালু হলো এই প্রথম।
ক্যাফেটির সহযোগি প্রতিষ্ঠাতা টেডি চুই বলেন, ‘ক্যাফেতে গিয়ে শিশুরা জানতে পারবে, কীভাবে পশুদের পরিচর্যা করতে হয়। অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদেরকে নিয়ে আসছে, যেন তারা পশুপাখি পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে পারেন।’ সূত্র: নতুনসময়.কম
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ