আগামী ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী জুড়ে মহামারীর রূপ নিতে চলেছে অপুষ্টি। ভারতের রাষ্ট্রপুঞ্জ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ইউএনএফএও) পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ব জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই অপুষ্টির শিকার। স্থূলতা এবং অনাহার, এই দুই ধরনের অপুষ্টিই যে ভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে, তা রুখতে বিভিন্ন দেশের সরকার সচেষ্ট না হলে, ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষই অপুষ্টির কবলে পড়বেন, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অপুষ্টির সঙ্গে বুঝতে কোন পথে আগানো দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করতে সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল ইতালির রোমে। সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অপুষ্টি রুখতে অবিলম্বে যদি সক্রিয় না হয় সরকারগুলি, তা হলে এর মহামারীর আকার নেওয়া আটকানো যাবে না।
সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে পৃথিবীর জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। ৮০ কোটি মানুষ অনাহারক্লিষ্ট, না খেয়ে বা এক বেলা খেয়ে দিন কাটছে তাদের। আর ১৯০ কোটি মানুষ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের শিকার, যে স্থূলতা আসলে বেহিসেবি খাদ্যগ্রহণ বা উপযুক্ত পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যতালিকার অভাবজনিত। অর্থাৎ দুই ধরনের অপুষ্টি মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ২১০ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার এই মুহূর্তে। আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭৫০ কোটির আশেপাশে।
এই মুহূর্তে পৃথিবীতে পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা যতটা রয়েছে, তার জন্য প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি সাড়ে তিন লাখ কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এখনই রাষ্ট্রগুলি সতর্ক না হলে এই ক্ষতি আরও অনেক বাড়তে চলেছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।