পোলান্ডের একটি হাসপাতালের কর্মী মর্গের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা তিনি শুনতে পান মর্গের ভিতর থেকে কারও গলার আওয়াজ ভেসে আসছে। কেউ যেন চিৎকার করছে। অতিরিক্ত কৌতুহলবশত মর্গে প্রবেশ করেন। বুঝতে পারেন একটি রেফ্রিজারেটরের ভিতর থেকে ভেসে আসছে এই চিৎকার। যেখানে খানিক আগেই রাখা হয়েছে এক সদ্য মৃত পুলিশকর্মীর দেহ।
রেফ্রিজারেটর খুলে দেখতে পান, নগ্ন অবস্থায় রাখা দেহটি চোখ মেলেছে। শুধু তাই নয়, ঠাণ্ডায় কাঁপছে রীতিমত। ভয়ে এবং বিস্ময়ের মধ্যেও খেয়াল করেন, রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকা মানুষটি কম্বল চাইছেন। পরে ওই ঠাণ্ডা থেকে মানুষটিকে বের করে আনেন কর্মীটি। চিকিৎসককে খবর দেন।
চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে জানান, অত্যাধিক মদ্যপান করার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাময়িকভাবে শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কামিল নামের ওই ব্যক্তির। মর্গেই তিনি ফের প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। পরে সুস্থ হয়ে কামিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি ফেরেননি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ২৫ বছরের কামিল সোজা চলে দেন বন্ধুদের আড্ডায়!
বিডি প্রতিদিন/৩ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা