ক্যামেরার সামনে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত নারী শরীর। স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর বিভাজিকা। কোথাও এতটুকু আড়াল নেই। সূর্যের আলোমাখা সেই শরীরে উথলে-ওঠা যৌবনের হাতছানি। অন্য ছবিটিতে সেই নারীই লেকের জলে। এখানেও তার শরীরে ছিটেফোঁটা আভরণ নেই। নানা বিভঙ্গ ভঙ্গিমায় জলকেলি করে চলেছেন। তার মধ্যে প্রলোভন রয়েছে।
এই ছবির যিনি সংগ্রাহক এস বার্নার্ড জোরালো দাবি করেছেন এই নারী আর কেউ নন, জার্মান অ্যাডলফ হিটলারের বান্ধবী ইভা ব্রাউন। 'যেখানে যা ছবি পেয়েছি, ভালো করে খুঁটিয়ে দেখেছি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা ইভা ব্রাউন।'
বার্নার্ডের কাছে এই ছবি যিনি বিক্রি করেছেন, সেই অ্যান্টিক ডিলার স্টেফান ক্রুজমেয়ারও দাবি করেছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত বিখ্যাত সামরিক ঐতিহাসিকও এই নগ্ন নারীকে ইভা ব্রাউন বলেই নিশ্চিত করেছেন। স্টেফান জানিয়েছেন, বছর ৯ আগে এক নারী বাক্সভর্তি ছবি নিয়ে তার দোকানে এসেছিলেন। সেই ছবিগুচ্ছের মধ্য থেকেই তিনি ইভা ব্রাউনের নগ্ন ছবি খুঁজে পেয়েছেন।
ছবিগুলি যখন তোলা হয়, সেই সময়টা ১৯৪৩ সাল, ইভা ব্রাউন তখন হিটলারের সঙ্গেই ছিলেন। তবে, ইভা ব্রাউনের যিনি জীবনীকার হাইকা গুর্টমেকার এই ছবি দুটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্য, জার্মানির ওরকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউন একা একজন ক্যামেরাম্যানের সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দেবেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সূত্র: এই সময়
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব