ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক জাহাজের নানা ঘটনা নিয়ে তৈরী হয়েছে সিনেমা। তাতে ফুটে উঠেছে করুণ কিছু দৃশ্য। সেই টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার রহস্য এখনও কাটেনি। দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে টাইটানিক এখনও ঘুমিয়ে রয়েছে অাটলান্টিক মহাসাগরের অতলে। একশো বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু, এতটুকু কৌতূহল কমেনি সুবিশাল আড়ম্বরপূর্ণ যাত্রিবাহী ওই প্রমোদতরীকে নিয়ে। ইতিহাসের পাতা থেকে কখনও সিনেমার পর্দায়, কখনও স্মৃতিবিজড়িত জিনিসের নিলামে টাইটানিককে খুঁজে পাই আমরা। কিন্তু, যদি সত্যি আবার পানিতে ভাসে ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক! অনেকটা দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো করে ফিরে আসছে টাইটানিক। আর এর পেছনে রয়েছে চীন।
টাইটানিকের আদলে একটি জাহাজ বানানো হচ্ছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে। নামও রাখা হয়েছে টাইটানিক। যদিও এই জাহাজ কোন যাত্রী বহন করবে না। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে অভিনব এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নয়া ওই টাইটানিক-এর নির্মাণকারী সংস্থা উচাং শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের জেনালের ম্যানেজার ওয়াং ওয়েলিং।
আসল টাইটানিকের মতোই দেখতে হবে এই জাহাজ। ৮৮৩ ফুট লম্বা এবং ৯২ ফুট চওড়া এই জাহাজের ভিতরে থাকবে সুইমিং পুল, থিয়েটার, খেলার মাঠ, প্রথম শ্রেণির কেবিন। তবে আসল টাইটানিকে যা ছিল না, টেকনোলজির দৌলতে নকল জাহাজে থাকবে সেই ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা।
ইতিমধ্যেই জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। আসল ডিজাইনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে নতুন এই জাহাজ। আমেরিকা এবং ব্রিটেন থেকে আনা হয়েছে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার। গোটা প্রোজেক্টের খরচ হবে প্রায় ১৫ কোটি মার্কিন ডলার।
বিডি প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল