শখ করে ছেলের চুল অন্য ভাবে কাটিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা। ছেলের চুলের ছাঁটের জন্য স্কুল থেকে এল ডাক। অন্য সহপাঠীদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পরই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন ওই পড়ুয়ার বাবা। না, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি করেননি। বরং ছেলের দেখাশোনার জন্য নিজের চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন।
এমনটাই ঘটেছে ব্রিটেনে। ৩৭ বছরের ক্রেগ ইমানুয়েলের সাত বছরের ছেলে ম্যাকেনজি পড়ে লন্ডনের উইলেসডেন শহরের সেন্ট মেরিস কোফি প্রাইমারি স্কুলে। অভিযোগ, ম্যাকেনজির চুল একটু অন্য ভাবে কাটানো হয়েছিল বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। একই সঙ্গে জানান, যত দিন না চুল বড় হচ্ছে তত দিন যেন সে স্কুলে না আসে।
যদিও স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাকেনজিকে সাসপেন্ড করা হয়নি। তারা ওই পড়ুয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করছেন। ছেলের স্কুল থেকে ডাক পড়ায় ভীষণ অপমানিত হয়েছেন ইমানুয়েল। একটি জাপানি স্টেশনারি ফার্মে কর্মরত ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র ছেলের দেখভাল করবেন বলে সেখানকার কাজটাই ছেড়ে দিলেন ইমানুয়েল।
ইম্মানুয়েল জানান, অফিসে তিনি এক দিনও ছুটি পাচ্ছিলেন না। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজের চুক্তি ছিল তার। ঘটনার পর স্ত্রী লুইস বেশ রেগে গিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরে। তিনি বলেন, “স্কুল থেকে বলা হয়েছিল চুলে কোনও লাইন, প্যাটার্ন বা জিগ-জ্যাগ করা চলবে না। কিন্তু, আমার ছেলের চুলে এগুলোর মধ্যে কোনওটাই করা হয়নি।’’
তিনি আরও জানান, তার ছেলে লন্ডন অ্যাথলেটিক ক্লাবের আন্ডার সেভেনের ‘এ’ স্কোয়াডের হয়ে ফুটবল খেলে। আর ম্যাকেনজির ইচ্ছে, বড় হয়ে আর্সেনালের হয়ে খেলা। আর এই প্রথম নয় এর আগেও এ ভাবেই চুল কাটানো হয়েছিল তার ছেলের।