দু’বছরের শিশুর কিডনি কেটে নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগই উঠল ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
জানা গেছে, পুণের সাসুন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ফয়জল তাম্বোলি নামের শিশুটিকে ভর্তি করেন বাবা-মা। চিকিৎসা চলাকালীন সনোগ্রাফিতে শিশুটির মাত্র একটি কিডনি দেখা যায়। তারপরই শুরু হয় তুলকালাম। হাসপাতালের বিরুদ্ধে কিডনি চুরির অভিযোগ আনেন শিশুটির পরিবার। মানবাধিকার কমিশনে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন তারা। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তদন্তে নামে ডাক্তারদের একটি বিশেষ দল। তারপরই প্রকাশ্যে আসে একটি অদ্ভুত ঘটনা।
কিডনি চুরির অভিযোগ খারিজ করেছে তদন্ত কমিটি। হাসপাতালের সহকারি ডিন মুরলিধর তাম্বে জানান, শিশুটি একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। ফলে তার ডান দিকের কিডনিটি এতটাই ছোট হয়ে যায় যে তা সনোগ্রাফিতে দেখা যায়নি। ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সাসুন হাসপাতালেই প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের অসুস্থতা নিয়ে ২ থেকে ৩টি শিশু আসে। এ ক্ষেত্রে ভ্রূণ অবস্থায় থাকাকালীন শিশুটির মধ্যে ত্রুটি দেখা যায়। এ ধরনের বাচ্চাদের হৃদযন্ত্র, শিরদাঁড়া ও পাকস্থলী সংক্রান্ত গণ্ডগোল থাকে। এ ধরনের শিশুদের তিনটি বড় ও কয়েকটি ছোট অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে। তবে সিটি-ইউরোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে, ফয়জলের দুটি কিডনিই ঠিক জায়গায় রয়েছে, তবে একটি ছোট হওয়ার ফলে অন্যটির ওপর চাপ বেশি পড়ছে।
তাম্বে আরও দাবি করেন, শিশুটির চিকিৎসায় থাকা ডাক্তাররা বিষয়টি জানতেন। তবে তার বাবা-মা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ফলে এই বিভ্রান্তি। জানা গেছে, বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর সমস্ত অভিযোগ তুলে নিয়েছেন শিশুটির বাবা-মা। সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার