মশা এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। মশা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি চীনা পতঙ্গবিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন একটি দানব আকৃতির মশা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মশার প্রজাতি। নাম- হলোরাসিয়া মিকাডো (Holorusia Mikado)। দেশটির সিচুয়ান প্রদেশের মাউন্ট কুইংচেং নামে একটি স্থান থেকে এ মশাটিকে ধরা হয়।
জানা যায়, দানবাকৃতির এ মশার পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় পাখার সাড়ে ১১.১৫ সেন্টিমিটার। এই প্রজাতিটির প্রথম দেখা মেলে ১৮৭৬ সালে জাপানে। ব্রিটিশ পতঙ্গবিজ্ঞানী জন ওয়েস্টউড এর নামকরণ করেন। এ প্রজাতির মশার প্রসারিত পাখার দৈর্ঘ্য সাধারণত হয় আট সেন্টিমিটার। হলোরাসিয়া মিকাডোচীনের পশ্চিমাঞ্চলে এ মশাটিকে ডাকা হয় ‘সারস মশা’। বেঢপ আকৃতির কারণে এরা তেমন উড়তে পারে না। অনেকটা লাফানোর ভঙ্গিতে এরা চলাচল করে। এদের খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে এইসব মশা।
মশার আছে রক্ত চোষার অভিনব কায়দা। যে সব মশা আমাদের কামড়ায় তারা হল স্ত্রী মশা। মানুষের রক্ত ভালো প্রোটিনের উৎস হওয়ায়, স্ত্রী মশারা ডিম পাড়ার সময় মানুষের রক্ত খেয়ে থাকে। আর স্ত্রীর রক্ত শোষণে বাঁধা এড়াতে পুরুষ মশারা আমাদের চারপাশে ঘুরে নিজের দিকে ব্যস্ত করে রাখে আমাদের। কিছু মশা রোগজীবাণু সংক্রামক। পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির মশার বসবাস।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার