‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো…’! প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে বা গদগদভাবে ভালবাসার জানান দিতে, আজও সাতের দশকের এই গানের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করে প্রেমিকসমাজ৷
‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ ছবির জন্য এই গানে সুর দিয়েছিলেন আর ডি বর্মন। ‘মন চুরি’ করার যে কথা গানের ভাষায় বলা হয়েছে, হয়ত ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তা লিখেছিলেন গীতিকার মাজরুহ সুলতানপুরি। কারণ, এই ‘মন চুরি’র ঘটনাটি নিছকই আর কথার কথা হয়ে রইল না। বাস্তবেই ‘মন চুরি’ গেল এক যুবকের এবং চোরকে পাকড়াও করতে সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
অবাক হলেও, এটাই সত্যি! সম্প্রতি এমনই ‘মন চুরি’র অভিযোগ জমা পড়েছে নাগপুরের একটি থানায়। পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে তাড়াহুড়ো করে এক যুবক থানায় আসেন এবং তাদের বলেন, ‘আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ বস্তু চুরি হয়ে গিয়েছে! আপনাদের খুঁজে দিতেই হবে।’
কী হারিয়েছে, কোথা থেকে হারিয়েছে প্রশ্ন করা হয় ওই যুবককে। উত্তরে তিনি যা বলেন, তাতে কার্যত হতবাক হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। পুলিশ অফিসারদের ওই যুবক বলেন, “আমার মন চুরি হয়ে গিয়েছে! একটি মেয়ে আমার মন চুরি করেছে।। ওই মেয়েটিকে খুঁজে আনুন। আর আমার মনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতেই হবে আপনাদের!”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছেন নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ভূষণকুমার উপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “চুরি যাওয়া সামগ্রী আমরা উদ্ধার করে দিতে পারি, কিন্তু চুরি যাওয়া মন আমরা কীভাবে ফিরিয়ে দেব! ফলে যুবকের এই অভিযোগের সমাধানের পথ আমরা বাতলে দিতে পারিনি।”
জানা গেছে, উত্তরে পুলিশ অফিসাররা ওই যুবককে জানান, হৃদয়হরণ সংক্রান্ত কোনও আইন ভারতীয় সংবিধানে বিধিবদ্ধ নেই। ফলে তাকে সাহায্য করতে পারবেন না তারা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম