জঙ্গলের মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে একটি বাঘ। আর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করে চলেছে এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই মর্মান্তিক ছবি। যা দেখে চমকে উঠছেন প্রায় সকলেই। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন পশুপ্রেমীরা৷
গত বছর অক্টোবর মাসে ভিয়েতনামের চোরাশিকারির একটি দলকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। সূত্রের খবর, সেই চোরাশিকারী দলেরই কারও মোবাইলে ছিল এই রক্তাক্ত বাঘের ছবি। যেখানে দেখা গেছে, বাঘের উপর উঠে বসে রয়েছে এক ব্যক্তি। তবে শুধু বসে রয়েছে ভুল হবে। বলা চলে, বাঘকে ক্রমাগত একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চলেছে সে।
বন্যপ্রাণী রক্ষা নিয়ে কাজ করে চলা ‘ফ্রিল্যান্ড’ নামে একটি সংস্থার তরফে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে সেই ছবিটি। বিদ্যুতের গতিতে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে যে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চোরাশিকারের মালপত্র নিয়ে পালানোর সময় চোরাশিকারিদের এই দলটিকে পাকড়াও করে সেখানকার পুলিশ। তাদের গাড়ি থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের কঙ্কালও উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালওয়েশিয়ার মতো চারটি দেশে মূলত চোরাশিকার করত ওই দলটি। পুলিশের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঘের হাড় থেকে একটি বিশেষ পানীয় তৈরি হয়। ওই পানীয়টির ভিয়েতনামে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। ভিয়েতনামে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা সাধারণত ওই পানীয় খান। তাই বারবার চোরাশিকারিরা বাঘকেই টার্গেট করে।
বাঘকে মারধরের বীভৎস এই ছবিটি এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। ছবি দেখার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা। চোরাশিকারিদের চরম শাস্তি হিসেবে ফাঁসির দাবিও তুলেছেন পশুপ্রেমীরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর