জিহ্বা আমাদের মুখের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। জিহ্বা দিয়ে আমরা খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে থাকি। প্রত্যেক মানুষের জিহ্বা নির্দিষ্ট একটি মাপের হয়ে থাকে। তবে নেপালের বাহাদুর কতুয়ালের ক্ষেত্রে হিসেবটা একেবারে ভিন্ন।
৩৭ বছর বয়সী ছোটখাটো ছিপছিপে গড়নের বাহাদুর দেখতে সাধারণ মানুষের মতো। তবে অবাক করার বিষয় হলো জিহ্বা দিয়ে যেখানে নাক ছুঁতেই নাভিশ্বাস সবার সেখানে জিহ্বা দিয়ে রীতিমতো বাহাদুরি দেখাচ্ছে বাহাদুর। বাহাদুর দিব্যি তার জিহ্বা কপাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন।
বাহাদুরের বাড়ি নেপালের উর্লাবারি শহরের উপকণ্ঠে। পেশায় স্কুলের বাসচালক। সম্প্রতি তার এক বন্ধু তার জিহ্বা দিয়ে কপাল ছোঁয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। অনেকেই এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের জিভের স্বাভাবিক আকৃতি ১০ সেন্টিমিটার, যা দিয়ে কোনোভাবেই কপাল তো দূরের কথা নাকও ছোঁয়া সম্ভব না।
বাহাদুরের দাবি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিহ্বার অধিকারী তিনি। বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বাহাদুর বলেন, যদি আমি একটি ভয়াবহ সিনেমাতে কাজ করতে পারতাম, তাহলে অন্য অভিনেতাদের মতো আমাকে মেকআপের প্রয়োজন হতো না। বাহাদুর নিজের এই কর্মকান্ডে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখানোর ইচ্ছের কথা বললেও সেই রেকর্ড অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের নিক স্টোয়েবর্ল ১০.১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যরে নাকের মালিক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বাহাদুর রীতিমতো তারকা বনে গেলেও এই জিহ্বা নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে খুব বেশি সুখী নন তিনি। কারণ এই জিহ্বা দেখে অনেকেই ভড়কে যান। বিশেষ করে বাচ্চারা! ফলে কর্মক্ষেত্রে বা জনসম্মুখে তিনি জিহ্বা দেখাতে খুব একটা স্বস্তিবোধ করেন না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল