প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রকাশ করা হল ‘ইগ নোবেল’ এর তালিকা। এবার পুরস্কারের তালিকায় যে আজব গবেষণাগুলো স্থান পেয়েছে তার তালিকা নিচের তুলে ধরা হল।
জীববিজ্ঞান: সুজান শটৎস। বিষয়: বেড়াল ও মানুষের মধ্যে ভাব বিনিময়ের জন্য ম্যাওম্যাও, গরগর, হিসহিস ইত্যাদি নানা রকম শব্দ।
পরিবেশ: লেইলা সাটারি ও তার সঙ্গীরা। বিষয়: বিভিন্ন দেশের ফুটপাতে আটকে থাকা চুইংগামের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জিনগত গঠন বিশ্লেষণ।
রসায়ন: ইয়র্গ ভিকার ও সঙ্গীরা। বিষয়: সিনেমা হলের ভেতরের বাতাসের গন্ধের রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং তা থেকে দর্শকরা যে ছবিটি দেখছেন সেটাতে যৌনতা, সহিংসতা, মাদক ব্যবহার বা খিস্তির মাত্রা সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায় কিনা।
অর্থনীতি: পাবলো ব্লাভাটস্কি। তিনি আবিষ্কার করেছেন যে কোনও একটি দেশের রাজনীতিবিদরা কতটা মোটা- তা থেকে দেশটির দুর্নীতির মাত্রার ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
মেডিসিন বা চিকিৎসাশাস্ত্র: ওলকাই চেম বুলুট ও তার সঙ্গীরা। তারা দেখিয়েছেন যে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে তা সারাতে যৌনতৃপ্তি যেকোনও ওষুধের মতই কার্যকর।
শান্তি পুরস্কার: এথান বেসারিস ও সঙ্গীরা। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল- ঘুষির আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্যই বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের মুখে দাড়ি গজিয়েছে কিনা।
পদার্থবিজ্ঞান: আলেসান্দ্রো করবেটা ও সঙ্গীরা। গবেষণার বিষয়: পথাচারীদের কেন সব সময় অন্য পথচারীদের সাথে ধাক্কা লাগে না।
কাইনেটিক্স বা গতিবিদ্যা: হিশাসি মুরাকামি ও সঙ্গীরা। তাদের গবেষণার বিষয়: কেন পথচারীদের সাথে মাঝে মাঝে অন্য পথচারীদের ধাক্কা লাগে।
এনটোমোলজি বা কীটতত্ত্ব: জন মালরেনান ও সঙ্গীরা। বিষয়: সাবমেরিনের ভেতরে তেলপোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের একটি নতুন পদ্ধতি।
পরিবহন: রবিন র্যাটক্লিফ ও সঙ্গীরা। বিষয়: গণ্ডারকে উল্টো করে ঝুলিয়ে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা নিরাপদ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম