জন্ম থেকেই নারী-পুরুষের আচরণ কেমন হবে তা বেঁধে দেয় সমাজ। নারীর জন্য গোলাপি, পুরুষের জন্য নীল রঙ। নারী কাঁদবে, পুরুষ কাঁদতে পারবেন না। কারণ চোখের জল দুর্বলতার পরিচায়ক। আশেপাশের পুরো পৃথিবীটা কাঁধের ওপর ভেঙে পড়লেও চোখের জল ফেলতে পারবেন পুরুষ। নারী-পুরুষ কী পরবে তাও প্রতিটি সমাজে ঠিক করে দেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেউ কেউ সমাজের বানানো এই কাঁচের দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করছেন। তারই একজন পুষ্পক সেন।
ইতালির ফ্লোরেন্সে ফ্যাশন মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস নিয়ে পুষ্পক সেন পড়াশোনা করছেন । ২৬ বছর বয়সী এ বাঙালি যুবক পড়াশোনার সূত্রে ইতালিতেই রয়েছেন। সম্প্রতি তাকে মিলানের রাস্তায় দেখা গেছে কালো রঙের শাড়িতে, সঙ্গে পরেছেন হাই নেকটি শার্টের উপরে ব্লেজার। কপালে লাল বড় টিপ।
তবে এবারই প্রথম নয়, পুষ্পককে এর আগেও বহুবার বাহারি রঙ ও ডিজাইনের শাড়িতে দেখা গেছে। হাইহিল পরে তাকে নাচতে দেখা গেছে। যদিও কাজটা যে সহজ নয় তাও জানিয়েছেন। চোখ সাজিয়েছেন নানা রঙে, গয়না পরেছেন। ফ্যাশনের বিষয়ে দারুণ আগ্রহ পুষ্পকের। তাই তিনি এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। @দ্যবংমুন্ডা নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে পুষ্পকের। সেই অ্যাকাউন্টেই এই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। পুষ্পক জানিয়েছেন, মিলানের রাস্তায় শাড়ি পরে ছবি তোলাটাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। শাড়ি পরার মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়াও তার একটা লক্ষ্য।
হ্যারি স্টাইল
অবশ্য পুষ্পকই প্রথম নন। বিশ্বের অনেক নামী-দামী তারকা নারী-পুরুষের পোশাকের বাঁধাধরা নিয়ম মানতে চান না। নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে এমন পোশাকই পরতে চান তারা। এ তালিকায় আছেন ব্রিটিশ গায়ক ও গীতিকার হ্যারি স্টাইল। নীল ও গোলাপির বিভেদ তিনি মানতে চান না। আরামদায়ক যে কোনো পোশাকই থাকে তার পছন্দের তালিকায়। সেটা যদি গাউন কিংবা স্কার্টও হয় তাতেও তার কোনো সমস্যা নেই। এসব পোশাকে তিনি ফটোশুট করেছেন, বড় বড় উৎসবের লালগালিচা মাতিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা