সবুজ অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করল বহুজাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক। স্বল্প আয়ের দেশ হয়েও সবুজ অর্থনীতি চালু করায় বিশ্বব্যাংকের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কিত ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যাচেল কাইট ও দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ লি হোয়েরো এক অনুষ্ঠানে এ অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তা ছাড়াও আইএমএফের ঊধর্্বতন কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকটি দেশের অর্থমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ড. আতিউর বলেন, সাম্প্রতিক কিছু সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল তা এখন কেটে যাচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে আরও বেশি সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি। ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল এ সপ্তাহেই। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিতকে অনেক মজবুত করল এবং এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। এটি বাংলাদেশের বিরাট অর্জন। গতকাল থেকে আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সম্মেলনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আসেন অর্থমন্ত্রী। এর দুই দিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পেঁৗছান। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তারা। এদিকে পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী চলমান কর্মসূচির সমন্বয় ও তদারকিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) পক্ষ থেকে গঠিত ১৯ সদস্যের কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আতিউর ছাড়া দক্ষিণ এশিয়া থেকে রয়েছেন আরেকজন ভারতীয় পরিবেশবিদ। এ কমিটির মূল দায়িত্ব হচ্ছে সবুজ অর্থনীতি চালু করার উপায় খুঁজে বের করা।