গুম, অপহরণ ও হত্যার মতো ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ যখন আতঙ্কিত তখন স্পেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও পাওয়া গেলো এমন গুম ও হত্যার ঘটনা। স্পেনের বার্সেলোনার শান্তাকলমায় বাংলাদেশিদের বৃহৎ একটি অংশের বসবাস, আর এখানেই গুম অতঃপর হত্যার শিকার হন ৩৮ বছর বয়সী ৫ সন্তানের জননী প্রবাসী বাংলাদেশি নীলুফা আলী খান।
২০০৩ সাল থেকে স্বামী ইউনুছ আলী খান এবং সন্তানদের নিয়ে তিনি শান্তাকলমার কাইয়্যে শান্ত আন্দ্রেজের পাঁচ নম্বরের বাসায় বসবাস করতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৫টায় বাচ্চাদের নিয়ে ইকেয়ার পার্শ্ববর্তী পার্কে বেড়াতে গিয়ে পিপাসা মেটাতে পানি কিনতে গিয়ে গুম হয়ে যান। অবশেষে অনেক গুঞ্জনের অবসান ঘটে স্প্যানিস পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের মাধ্যমে।
দীর্ঘ প্রায় দুইমাস পর গত ২৬ এপ্রিল বাসার কাচে বাদালোনার মন্টিগালা পাহাড়ের চূড়া থেকে প্লাস্টিকে মুড়ানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ৩০ এপ্রিল ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তারা জানায়, এটিই গুম হওয়া নীলুফা আলী খানের লাশ।
পুলিশে রিপোর্ট করায় গুম হয়ার ৮ দিনের মাথায় তিন বেডরুমের একই বাসায় পেইং গেস্ট হিসেবে বসবাসকারী শহিদুর রহমান এবং আলী মিয়া হাওলাদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। একই দিনই শহিদুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও মাদারীপুরের শিবচরের আলী মিয়া হাওলাদারকে এখন পর্যন্ত জেল হাজতের ঘানি টানতে হচ্ছে।
বিভিন্ন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্বামী ইউনুছ আলী খান দাবি করেন, ওই আলী মিয়া হাওলাদারই তার স্ত্রীর মৃত্যুর অন্যতম হত্যাকারী। এখন মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করায় নিহতের পরিবারকে আদালতের প্রকৃত রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।