সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এমআরপি পাসপোর্ট দ্রুত তৈরির জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি বেসরকারি আইটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে। জিটিআর কোম্পানি নামক এ প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে একাধিক টিমের মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকসহ সকল পেশাজীবীদের দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির কাজ সম্পাদন করবে। গত সোমবার আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন পাসপোর্ট ডিজি আবদুল মাবুদ।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ দুতাবাসের রাষ্ট্রদুত মো. ইমরান। পাসপোর্ট ডাইরেক্টর বিগ্রেডিয়ার মোহাম্মদ মাসুদ রেজওয়ান, বিএম জামাল হোসেন, এটিএম আবু আসাদ, রেহেনা চৌধুরী।
কনস্যাল জেনারেল মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা পাসপোর্টের নানা সমস্যা ও ছবি লাগানো বিষয়টি নিয়ে ডিজির কাছে প্রশ্ন করেন। পরে ডিজি আবদুল মাবুদ সবার প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিজি তার বক্তব্যে জানান, আগে পাসপোর্ট তৈরিতে লাগতো ৩০ ডলার। এখন একটি কোম্পানিকে কাজ দেওয়ায় তা বাড়িয়ে ৪৩ ডলার উন্নীত করা হয়েছে। তার পরিবর্তে জিটিআর কোম্পানি মোবাইল টিমের মধ্য দিয়ে অনেক সহজ উপায়ে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। আগামী ২০১৫ সালের নভেম্বরের পরে হস্তলিখিত পাসপোর্ট আর ব্যবহার করা যাবে না বিধায় সরকার আউটসোর্সিং করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৬টি দেশকে এ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ১৯টি দেশ এখনো বাকি আছে।