২০১৫ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী ও শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। নির্বাচনে অংশ নেওয়া কনজারভেটিভ দলীয় লর্ড আসক্রফ্ট পরিচালিত এক ভোটার জরিপে এ তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে।
আগামী বছরের মে-তে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ আসনগুলোতে লর্ড আসক্রফ্ট এ জরিপ চালায়। এরমধ্যে টিউলিপের আসন গ্রেটার লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নও রয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে পরিচালিত ওই জরিপের প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, মোট ১ হাজার ভোটারের ওপর পরিচালিত এই জরিপে টিউলিপ ৪৮ভাগ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্ধী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী টোরি সায়মন মার্কাস পেয়েছেন ৩২।
অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী মাজিদ নেওয়াজ পেয়েছেন ১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।
২০১০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার দলীয় প্রার্থী গ্লেন্ডা জ্যাকসন মাত্র ৪২ ভোটের ব্যবধানে হ্যামস্টেড ও কিলবার্নের এই আসনে জয়ী হন।
লর্ড আসক্রফ্টের জরিপে দেখানো হয়, গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রাপ্ত ভোটের ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবার লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপকে সমর্থন দিচ্ছেন।
এদিকে নির্বাচনী জরিপে এগিয়ে থাকার খবরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক বলেন,প্রতিদিনই আমি হ্যামস্টেড ও কিলবার্নের জনগণের মনের ভাষা শুনতে পাই।
তিনি বলেন, আমি জানি হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন আসনটি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের অন্যতম প্রধান টার্গেটের একটি আসন। এরপরও আগামী মে মাসের নির্বাচনে আসনটি লেবার পার্টির হাতে তুলে দিতে শেষ পর্যন্ত কঠোর শ্রম দিয়ে যাবো।
টিউলিপের অন্যতম প্রধান নির্বাচন ক্যাম্পেইনার কাউন্সিলর পারভেজ আহমদও নির্বাচনী জরিপের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পারভেজ আহমেদ বলেন, সম্ভাবনাময় তরুণ রাজনীতিক টিউলিপ আমাদের সম্পদ। এই সম্পদ অবশ্যই হ্যামষ্টেড-কিলবার্নের জনগণের কাজে লাগাতে হবে।