চট্টগ্রামবাসী যেমন আঞ্চলিক ভাষায় সমৃদ্ধ তেমনি সাহিত্য, রাজনীতি, সংস্কৃতিতেও সফল। কিন্তু চর্চার অভাবে নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। আঞ্চলিক ভাষা হারিয়ে গেলে নিজেদের অস্তিত্বই থাকবে না। মাটির শিক্ষা, বাপ-দাদার ভিটা রক্ষার মতো চট্টগ্রামের ভাষা সংরক্ষণ ও চর্চার জন্য একটি গবেষণাগার করা প্রয়োজন। আর এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবে প্রবাসীরা।
মঙ্গলবার রাতে আবুধাবি চট্টগ্রাম সমিতির দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রীতি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা কালে এসব কথা বলেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম প্রবাসীরা আমিরাতে থাকলেও তারা বিভিন্ন ভাবে অবহেলিত। এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্যই কাজ করার আশ্বাসও দেন বক্তারা।
সমিতির সভাপতি ন আ ম বদুরউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জসিম উদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী রেজার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি সভাপতি প্রকৌশলী রফিক সিকদার, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, জনতা ব্যাংকের সিইউ মোহাম্মদ ইসমাইল, খালেদ ইয়ার, বাংলাদেশ ইসলামীয়া স্কুলের অধ্যক্ষ আনিসুল হাসান, শেখ জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়হান, আলম গ্রুপের পরিচালক নুরুল আলম, আব্দুল রাজ্জাক, অধ্যাপক সবুর, হাজী মহরম আলী।
বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন মনকাড়ে সবার তেমনি আত্মীয়তা-অতিথি আপ্যায়নে চট্টলাবাসী সেরা। এর প্রমাণ হচ্ছে চট্টগ্রামের মেজবান। এ অঞ্চলের লোকেরা ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন সমৃদ্ধ তেমনি দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক। মধ্যযুগ থেকে সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান অপরিসীম। এ অঞ্চলের অংশগ্রহণ ছাড়া সাহিত্যকে এতটুকু পর্যন্ত আনা যেতো কিনা সেটিও সন্দেহ ছিলো। তাই চট্টগ্রামের মূল্যায়ন যেন সঠিক জায়গায় সঠিক ভাবেই হয়। ভেদাভেদ ভুলে চট্টগ্রাম প্রবাসীদের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
দেশ থেকে টেলিকনফারেন্সে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুস সালাম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান সবার অংশগ্রহণ থাকলে চট্টগ্রাম সমিতি সফল হবে।'
সভাপতি ন আ ম বদুরদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, '২০০ সদস্য বিশিষ্ট সমিতিতে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হবে এবং আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া সামাজিক অভাব মেটাতে সহযোগি ভূমিকা রাখবে আবুধাবী চট্টগ্রাম সমিতি।'
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবুদল মোতালেব, ইমরাত হোসেন ইমু, মাহবুব রানা, এডভোকেট শহীদুল ইসলাম, নাছির তালুকদার, এরশাদ হোসেন হিরু, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা