সিলেটে রাজন এবং খুলনায় রাকিব হাওলাদার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে নিউইয়র্কের নতুন প্রজন্মের ডাকে মানববন্ধন হলো। ‘রাজনের জন্যে জাগরণ’ শীর্ষক এ কর্মসূচি ঘোষণার পর বর্বরোচিত আচরণের শিকার হয় খুলনার রাকিব। মঙ্গলবার বিকেলে ব্রুকলিনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার সড়কদ্বীপে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। ছুটে আসেন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও। আশপাশের ধর্মীয় এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও যোগদান করেন বর্বরোচিত এমন আচরণকারীদের মানবতা ও সভ্যতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে। মানববন্ধনের পর সকলে বিক্ষোভ মিছিলে মিলিত হন।
নিউইয়র্কে শতাধিক সংগঠন রয়েছে, যারা সকলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্রত নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বাড়লে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন, হরতাল-অবরোধের সমর্থনেও সোচ্চার হন অনেকে, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতেও অনেকে মানববন্ধন করেন নিউইয়র্কে। কিন্তু রাজন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং ঘাতকদের বিচার দাবিতে কেউই কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। সম্ভবত অভিভাবকদের এই নির্লিপ্ততার প্রতিবাদেই কলেজ ছাত্রী শাহানা হানিফ মুনমুন, ফারহাত রহমান, ফাহমিদা আজাদ এবং ইতি চৌধুরী এ কর্মসূচির ডাক দেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের আহ্বান ছড়িয়ে পড়ে সচেতন প্রবাসীদের মধ্যে।
সিটি কাউন্সিলম্যান ব্র্যাড লেন্ডার বলেন, ‘শিশুর নিরাপত্তায় ব্যর্থতার অর্থ হচ্ছে নিজেদের ভবিষ্যত বিনষ্ট করা। বাংলাদেশের শিশু এবং নিউইয়র্কের শিশু, সকলেরই বেঁচে থাকার সমঅধিকার রয়েছে। এজন্যে প্রতিটি অভিভাবককে দরদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘রাজনের পর রাকিব খুন হলো। ঘাতকরা একই স্টাইলে হত্যা করেছে দু’জনকে। অথচ ওরা কোন অপরাধ করেনি। নিরপরাধ শিশু হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির বিকল্প নেই।’
আর কোন রাজন এবং আর কোন রাকিব যাতে এমন নৃশংসতার শিকার না হয়, সে ব্যাপারে ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে-দাবি বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব নজমুল ইসলাম চৌধুরীর। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার মামুনুল হক, চট্টগ্রাম সমিতির নেতা খোকন কে চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ আগস্ট, ২০১৫/ রশিদা