২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার প্যান এশিয়া হোটেলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকেলে অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যেগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জলিল। সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর এবং ভিয়েনার আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হুদা চৌধুরী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুল ইসলাম, রুহী দাস সাহা, শফিকুল ইসলাম, বখতিয়ার রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, সাইফুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী মাতবর, ইমরুল কায়েস মানিক, মাসুম আলম, মো. এমরান, এমদাদুল হক পারভেজ ও শামীম মিয়া।
সভায় এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি একুশে আগস্ট বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার প্রতিনিধি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তির প্রধান নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।' তিনি বলেন, ‘তৎকালীন জঙ্গি-জামায়াতবেষ্টিত সরকার চেয়েছিল বাংলাদেশ থেকে প্রগতিশীলতার ধারা মুছে ফেলতে। চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি চিরতরে নির্বাসনে পাঠাতে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।' তিনি আরও বলেন, ‘ওই গণদুশমনরা বাংলা ও বাঙালির মধ্যমণি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার গভীর চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।'
তিনি একুশে আগস্টের নারকীয় বর্বরতার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী সেই তথাকথিত হাওয়া ভবনের কুশীলবর, সন্ত্রাস ও লুটপাটের রাজপুত্র তারেক জিয়াকে অভিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
সভায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২২ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব