গত সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া (আইআইইউএম) এর কালচারাল এাক্টিভিটি সেন্টারে (সিএসি) অনুষ্ঠিত হয় উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ড।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের পরিবেশনা শেষে উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ের হাসি ফোটে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মুখে। অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন সোমালিয়ার আবদুল ঘানি ও প্যালেস্তাইনের লীন।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণার শেষ প্রান্তে এসে ভাষ্যকাররা চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেন। মুহূর্তেই ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে কেঁপে উঠে পুরো অডিটরিয়াম। বাংলাদেশের পতাকা হাতে উল্লাসে মেতে উঠেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অডিটরিয়ামের খোলা চত্বরে নেমে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
এর আগে ৭ দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনীতে অধ্যয়নরত আইআইইউএম-এর বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছিলেন দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন রূপ। এতে স্থান পায় দেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস সংবলিত লেখা, লালনের ছবি, নকশি কাঁথা, রিক্সা, পালকিসহ গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রায় সবই। সঙ্গে ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার। বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশী ছাত্রীরা বিদেশী মেয়েদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দেন। এ ছাড়া স্টলে আসা দর্শকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করেন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবছরের মতো এবারও ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া (আইআইইউএম) এই ‘উম্মাটিক ফেস্টিভাল’-এর আয়োজন করে। গত শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল অ্যাকটিভিটি সেন্টারে (সিএসি) অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব। আর সোমবার রাতে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে ভারত।
গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর সাত দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রায় ৫০টি দেশের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন