দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ প্রতারণা অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল কাসেম, সদস্য শাহানারা রহমান বহিষ্কার ও সহ-সভাপতি বশারত আলী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে শোকজ (কারণ দর্শাও) করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নানা অনিয়মকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জ্যাকসন হাইটস পালকী পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের পরিচালনায় এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রায় ৪৮জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে দলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক আয়োজিত সাধারণ সভা আহ্বান করে কর্মীদের সাথে প্রতারণা করে অবৈধভাবে পালকী পার্টি সেন্টারের পরিবর্তে জুইশ সেন্টারে গোপনে তার কিছু অনুসারীকে (বহিরাগত) নিয়ে গোপনে বৈঠক করেন। গোপন সংবাদ পেয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে কার্যকরী পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হন। কিন্তু সভাপতি ও তার কিছু অনুসারী দলের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ রহমান সাজ্জাদসহ কার্যকরী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যকে সভাস্থলে ঢুকতে সিকিউরিটি দিয়ে বাধা প্রদান করেন।
এরকম পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে পালকি সেন্টারের জরুরী সভায় মিলিত দলীয় নেতাকর্মীরা। সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ দলীয়, নেতা কর্মীদেরকে সিকিউরিটি দিয়ে সভায় ঢুকতে বাধা প্রদান করা, সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ওনার সহ ধর্মীনি এবং কিছু অনুসারীকে নিয়ে বিগত কয়েক বৎসর ধরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহারের অপচেষ্টা, দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, সরকারের মন্ত্রী লতীফ সিদ্দিকী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গফফার চৌধুরীকে নিয়ে রাজাকার ও জামায়াতের যোগসাজসে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা করে বলে অভিযোগ করা হয়।
সভায় বিগত সাড়ে তিন বৎসর যাবৎ দলীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের তোয়াক্কা না করে এককভাবে দল পরিচালনা করা, বিগত তিনটি কার্যকরী কমিটির সভা আহ্বান করে পরবর্তিতে তা বানচাল করা, প্রধানমন্ত্রীর জন্য আয়োজিত বিগত ৪টা সংবর্ধনা সভার জন্য সংগৃহীত প্রায় ৪ লক্ষাধিক ডলারের হিসাব না দিয়ে সে অর্থের অধিকাংশই আত্মসাতের অভিযোগ দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাক্ষরিত অনুমোদিত কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে পদ পদবী বিক্রি করা ও বিভিন্ন স্টেটে কমিটি করার নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজী এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে ধ্বংস করার অভিযোগে আয়োজিত এই জরুরী সভায় কার্যকরী পরিষদের ৪৮জন সদস্যের উপস্থিতিতে সর্ব সম্মতিক্রমে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে ড. সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি আবুল কাসেম ও সদস্য শাহানারা রহমানকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয় এবং সহ সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে শোকজ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা