এয়ার এন্ড সি কার্গোর কন্টেইনার ও ব্যাগেজ রুলের সঠিক নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কার্গো ব্যবসায়ীরা। বিভিন্নভাবে ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরতে এয়ার এন্ড সি কার্গোর ব্যবসায়ী সমিতি সম্প্রতি কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সমিতির সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং জানে আলমের সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশে কাস্টম কর্তৃক হয়রানি, সঠিক সময়ে গ্রাহকের মালামাল পৌঁছাতে না পারায় নাজেহাল ও ভোগান্তির কথা ব্যক্ত করেন কার্গো ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কমসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর জন প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাংবাদিকদের অবিহিত করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
গত কয়েক মাস ধরে কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা তাদের স্বজনদের কাছে এয়ার এবং সি কার্গোর মাধ্যমে প্রেরিত মালামাল সঠিক সময় পৌঁছাতে পারছে না কার্গো ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে ভূক্তভোগী প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি ঝারছে ব্যবসায়ীদের উপর। কাস্টমসে এক শ্রেণির কর্মকর্তার মাত্রাতিরিক্ত হয়রানির কারণে সঠিক সময় মালামাল পাঠাতে না পেরে গ্রাহক কর্তৃক নাজেহাল হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
কুয়েতে কয়েকজন কার্গো ব্যবসায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান কাস্টমসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা বিমান বন্দরে উৎকোচ দাবি করে, না পেয়ে মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা করেন এই জরিমানা শোধ করতে গিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিমশিম খাচ্ছেন। সেই জরিমানা পরিশোধ করতে না পেরে কিছু ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়েছেন রিতিমত। ব্যবসায়ীরা বলেন বিশ্বের কোথাও এমন আইন নেই আমাদের দেশে ব্রিটিশ আমলের ব্যাগেজ রুল এখনো চলছে এই আইন অবিলম্বে পরিবর্তনের দাবি করেন। এসব হয়রানির কারণে দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ধর্ণা দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রেমিটেন্সযোদ্ধাদের প্রতি নমনীয় দৃষ্টিতে শুল্ক কর আরোপ করে খালাস এবং সুনির্দিষ্ট স্থায়ী নীতিমালা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কার্গো ব্যবসায়ীরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা