জর্জিয়া, টেক্সাস, নর্থ ক্যারলিনাসহ বিভিন্ন স্থানে গত শনি ও রবিবার অভিযান চালিয়ে ১২১ অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে শিশু সন্তানসহ যারা বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মূলত তাদেরকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে এ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জেহ জনশন। সোমবার জে জনশন মিডিয়াকে বলেন, ইমিগ্রেশন কোর্ট যাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করেছে, সে সব অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার ও বহিষ্কারের এ অভিযান সর্বত্র পরিচালিত হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই মাস থেকে আবারও টেক্সাসের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শিশু পাচারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যাদের সাথে অভিভাবক থাকে না। আল সালভেদর, হন্ডুরাস এবং গুয়াতেমালার লোকজন তাদের শিশুদের সীমান্তের ভেতরে ঢুকিয়েই কেটে পড়ছেন। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন সীমান্তরক্ষীরাও।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী বলেন, যত পন্থাই অবলম্বন করা হোক না কেন, কাউকেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়া হবে না। অভিভাবকহীন শিশুরাও যদি কোর্ট কর্তৃক বহিষ্কারাদেশ প্রাপ্ত হয়, তাদেরকেও নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত কখনোই অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের প্রবেশ দ্বার নয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৯০৫ অভিভাবকের আবেদন নাকচ করেছেন ইমিগ্রেশন জজ। দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে শিশু সন্তানসহ এসব অভিভাবক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ধরা পড়েন। তাদেরকে রাখা হয় ডিটেনশন সেন্টারে। সে সময় তারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। এ আবেদন বিবেচনাধীন অবস্থায় তাদেরকে প্যারলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কর্তৃক সে আবেদন চূড়ান্তভাবে নাকচের সময় তারা অনুপস্থিত ছিলেন। এ সংখ্যা হচ্ছে ৭২৬। তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। এজন্যেই তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে। ১৫৬ জন অভিভাবক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নিউইয়র্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'দেশীজ রাইজিং আপ এ্যান্ড মুভিং' অর্থাৎ ড্রামের পক্ষ থেকেও এ গ্রেফতার অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী করতে হবে সে সম্পর্কে তারা বিস্তারিত অবহিত করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা