মুসলিম বিশ্বে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় ওইসব দেশের ভূমিকার আলোকে মরক্কোর মারাকেচ সিটিতে ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন। আল ক্বায়েদা, তালেবান, বকোহারাম, আল মুজাহেদিন, সর্বশেষ আইসিস যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, সে অস্ত্র আর অর্থের উৎস কোথায়-এমন প্রশ্ন রেখেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোমেন। তিনি বলেন, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চালানো এসব বর্বরতায় কতজন নিহত হচ্ছেন তা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশিত হলেও কোত্থেকে আসছে এসব সর্বাধুনিক ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র-শস্ত্র তা কোন মিডিয়ায় আসে না।
সম্মেলনে ৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং অপর সদস্য ছিলেন মরক্কোতে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
এইচ টি ইমাম তার বক্তব্যে মদিনা সনদের আলোকে বাংলাদেশের সকল ধর্ম, জাতি-গোষ্ঠি সমমর্যাদায় দিনাতিপাত করছে বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করেছে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল জনগোষ্ঠিকে সাথে নিয়ে নিরাপদ বিশ্ব বিনির্মাণে সচেষ্ট রয়েছেন-বলেও দাবি করেছেন।
আবুধাবিতে অবস্থিত ‘ফোরাম ফর দ্য প্রমোশন পিচ ইন মুসলিম সোসাইটি’ নামক একটি সংস্থার সহায়তায় মরক্কোর বাদশা মোহাম্মদ ফোর-এর তত্ত্বাবধানে মরক্কোর ইসলামিক এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সারাবিশ্বের ১২০টি দেশের মুসলিম-খ্রিস্টান-জুইশ-হিন্দু-শিখসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্কলার, লেখক-বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্র পরিচালনারতরা অংশগ্রহণ করেন। সংখ্যা ছিল ৩০০ জন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন সম্মেলনে উপস্থিত হননি। পাঠিয়েছিলেন তার বিশেষ দূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ওআইসির বিশেষ দূত হিসেবে কর্মরত আরসালান সুলেমান এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত নক্স থেমস।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা