নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস গত রবিবার 'শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল (SIL International)-এর প্রধান নির্বাহী এবং ভাষা বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রেডরিক এ বসওয়েল (Dr. Fredrick A. Boswell), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। খবর নিউইয়র্ক বাংলার।
'শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' অনুষ্ঠানে কনস্যুলেট পরিবার, কমিউনিটি এবং বিদেশি শিল্পীরা (এস্তোনিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখাস্তান, নেপাল, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন এবং সিয়েরা লিওন) অংশগ্রহণ করেন। মার্কিন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাপাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
'শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' অনুষ্ঠানের পর কনস্যুলেট থেকে ই-মেইলে অনুষ্ঠান বিষয়ক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং ১৩টি ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠানো হয়। যাতে দেখা গেছে ১৩টি ছবির মধ্যে ১২টি ছবিই ঝকঝকে এবং নিখুঁত। শুধুমাত্র একটি ছবিই ফটোশপ ব্যবহার করে নষ্ট করা। আর এই ছবিটি হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ঝুলানো বঙ্গবন্ধুর ছবিতে এ ধরনের কোনো সাদা প্রলেপ নেই। তাই ক্যামেরায় ওই ধরনের সাদা প্রলেপ আসার কোনো কারণ নেই। আর যদি কোনো কারণে এটি চলেই আসে তবে ছবিটি বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠানো উচিত হয়নি। হীন উদ্দেশ্যে ছবিটি নষ্ট করে বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন বলেই অনেকেই মনে করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ম্যানহাটন সিটিতে থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি অফিসের নির্দিষ্ট স্থান থেকে খোয়া গিয়েছিল। কনস্যুলেটের বিল্ডিংয়ের পেছনে নিচে প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি পড়েছিল। ছয়তলার বাথরুমের পাশে বাইরে যাওয়ার সিঁড়ির কাছে জানালা দিয়ে কেউ ছবিটি নিচে ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে তখন অনেকেই ধারণা করেছিলেন। পরে স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে বিষয়টি অবহিত করেন। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কেউ জানতেন না কিভাবে ছবিটি অফিস থেকে উধাও হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা