ইতালি প্রবাসীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দিন যতই যাচ্ছে সমস্যা ততই বাড়ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর শরীরের ঘাম ঝরিয়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সরকারের অর্থ ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে প্রবাসীরা। অথচ একটি লাশ পাঠাতে দেশে পাঠানো চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সেই প্রবাসীদের।
প্রবাসীদের অভিযোগ, বাবা-মা এবং পরিবার-পরিজন ছাড়া দূর প্রবাসের কর্ষ্টাজিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেও জীবিত অবস্থায় কোন সরকারি সুযোগ তো নেই। মৃত্যুর পরে লাশ নিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। দেশে পাঠানোর জন্য টাকা যোগাড় করতে লাশ রাখতে হয় হিমাগারে।
জানা যায়, দেড় যুগ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি প্রবাসীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইতালিতে কোনো বাংলাদেশি মারা গেলে সেই লাশ বিনা খরচে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যার প্রতিশ্রুতিতে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর বিনা খরচে লাশ দেশে পাঠানো হয়। গত বছর কোন নির্দেশ ছাড়া বিমান বন্ধ করে দিলে প্রবাসীদের সেই দুর্ভোগ আবার বেড়ে যায়।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ না থাকার কারণে ভিনদেশী বিমানে লাশ বহনে অনেক খরচ হয় ইতালি প্রবাসীদের। বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সিতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় একটি লাশ দেশে পাঠাতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে শুধু মাত্র তুর্কি এয়ার লাইনে কম খরচে দুই হাজার চারশ ইউরো(২ লাখ প৫০ হাজার টাকা) অন্য বিমানে তিন হাজার ইউরো (প্রায় ৩ লাখ টাকা)। একজন প্রবাসী মারা গেলে এই ব্যয়ভার আত্বীয় স্বজন না থাকলে কেউ নিতে চায় না। ফলে এটি একটি চরম দুর্ভোগ বলে মনে করেন স্থানীয় প্রবাসীরা। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে ইতালি প্রবাসীরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব