আগামী ২৩ অক্টোবর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ পদে সরাসরি দুটি প্যানেল এবং সভাপতি পদে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৩৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ভোটার ১৮ হাজার ৫৫১ জন।
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সোসাইটির নির্বাচনে এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটার। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলিন এবং ব্রঙ্কসে ৫টি কেন্দ্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট গৃহীত হবে। এ নির্বাচন ঘিরে নিউইয়র্ক অঞ্চলে ৩ লক্ষাধিক প্রবাসীর মধ্যে সাজসাজ রব উঠেছে। পোস্টার-ব্যানার আর প্ল্যাকার্ডে সয়লাব বাংলাদেশি এলাকাগুলো। রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক পাড়ায় একই আলোচনা।
সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর প্যানেলে সেক্রেটারি পদে রয়েছেন কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম। অপরদিকে সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদের প্যানেলের সেক্রেটারি পদে রুহুল আমিন সিদ্দিকী। কামাল আহমেদও দু’বছর আগের কার্যকরী কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, সভাপতি পদে কুনু এবং কামাল-উভয়েই সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার সন্তান। অপরদিকে ওসমান চৌধুরী বগুড়ার। ব্যক্তিগতভাবে কামাল আহমেদ আওয়ামী লীগের নেতা। আজমল হোসেন কুনু বিএনপি এবং ওসমান চৌধুরী জাতীয় পার্টির। তবে এ নির্বাচন দলীয় পরিচয়ে হচ্ছে না। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী আবর্তিত হচ্ছেন যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে। এ পরিক্রমায় জামায়াত-শিবিরও একাকার হয়ে পড়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে ভোট প্রদানের আওয়াজ উঠলেও লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি-এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
৪১ বছর বয়সী সংগঠনের ২৬ বছরই কেটেছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ভঙ্গের মধ্য দিয়ে। দু’বছর অন্তর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রার্থীরা বরাবরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষ থেকে একটি কম্যুনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। ভারত, ক্যারিবিয়ান, পর্টোরিকান, আইরিশ আর স্প্যানিশদের মত বাংলাদেশিরাও ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ করার অঙ্গীকার ১৯৯০ সাল থেকেই করে আসছেন প্রার্থীরা। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটছে না।
উভয় প্যানেলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে রয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটিকে আরও গণমুখী, কম্যুনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ, বাংলাদেশ ডে প্যারেড আয়োজন, বাংলা স্কুল পুনরায় চালু, নবাগত প্রবাসীদের বাসস্থান ও চাকরির সহায়তা প্রদান।
বাংলাদেশ সোসাইটির পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান হচ্ছেন সৈয়দ টিপু সুলতান। কমিশনের সদস্যরা হলেন: আব্দুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন, জামান তপন ও ইউনুস সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সিটির ৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এগুলো হচ্ছে কুইন্সের গুলশান ট্যারেস বা ‘ঢাকা ক্লাব’, ব্রুকলিনের কোনি আইল্যান্ড এভিনিউতে পাঞ্জাব হল, ওজনপার্কে মদিনা পার্টি হল, ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস। এছাড়া জ্যামাইকাতেও একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ