৫ দিনের ব্যবধানে ২২ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অবস্থায় আরেক বাংলাদেশি খুন হলেন। তার নাম খন্দকার মুহিত (৪৬)। ওকলাহোমায় নিজ স্টোরেই ডাকাতের গুলিতে তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর রাতে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি অধ্যুষিত লসএঞ্জেলস সিটিতে কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন মিজানুর রহমান রাসেল (৩৩)।
রাসেলের ঘাতক গ্রেফতার হয়েছে ২৩ জানুয়ারি সোমবার। অপরদিকে ফরিদপুরের সন্তান মুহিতের ঘাতকও ধরা পড়েছে সোমবার সকালে।
ওকলাহোমা পুলিশ জানায়, সেপুলপা গ্যাস স্টেশনের মালিক মুহিত খন্দকারকে গুলি করে হত্যার পর স্টোরের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যাবার সময় একজন গ্রাহককে স্টোরে ঢুকতে দেখে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। তার নাম রবার্ট ফিল্ডস (৪০)।
২২ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন স্ট্রিট এবং বার্ণহ্যাম এভিনিউতে অবস্থিত কনভেনিয়েন্স স্টোরে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। মুহিতের বাড়ি ফরিদপুরে। স্ত্রী এবং ১৫ বছর বয়সী কন্যা আর ১০ বছর বয়সী পুত্রসহ ওকলাহোমায় বাস করছিলেন তিনি।
সেপুলপা পুলিশের কর্মকর্তা মেজর মাইক রীড এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভয়ের কোন কারণ নেই। দুর্বৃত্ত গ্রেফতার হয়েছে ৮০ মাইল দূর দেলওয়ারে কাউন্টির ডিজনী সিটি থেকে। সেখানকার একটি এপার্টমেন্টে দরজা ভেঙে চুরি করে পালানোর সময় আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে এবং টহল পুলিশ ৩৭ বছর বয়স্ক হীথ হেনী নামক এক শ্বেতাঙ্গকে পাকড়াও করে। এরপর সেপুলপা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে দেলওয়ারে কাউন্টির পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, কয়েক ঘন্টা আগে এই হীথই মুহিত এবং রবার্টকে গুলি করে হত্যা করেছে।
অপরদিকে লসএঞ্জেলসে মিজানুর রহমান রাসেলের হত্যায় জড়িত দুর্বৃত্ত নিউইয়র্কে পাড়ি দেয়ার অভিপ্রায়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লংবীচ এয়ারপোর্টে অপেক্ষায় থাকাবস্থায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ